জন্ম নিবন্ধন আবেদন – নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন

বাংলাদেশে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়া। এটি শিশুর নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে এবং সরকারি বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণে সহায়তা করে। বর্তমানে, শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে শিশুর পরিচয়, নাগরিক অধিকার এবং ভবিষ্যতে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা পাওয়ার পথ সুগম হয়। তাই, সময়মতো নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করা প্রতিটি শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয়তা
শিশুর ব্যক্তিগত তথ্য
- পূর্ণ নাম (বাংলা ও ইংরেজি)
- জন্ম তারিখ
- জন্মস্থান (হাসপাতাল/বাড়ির ঠিকানা)
- লিঙ্গ
বাবা-মায়ের তথ্য
- পিতার ও মাতার পূর্ণ নাম
- উভয় অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর
- বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন নম্বর (যদি উপলব্ধ থাকে)
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
- হাসপাতালের জন্ম সনদ বা জন্ম নিশ্চিতকরণ চিঠি
- বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- বাবা-মায়ের বিবাহ সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)
- ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি
নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন
সাইটটি পরিদর্শন করুন https://bdris.gov.bd/br/application এবং সেই ঠিকানাটি নির্বাচন করুন যেখানে আপনি পরবর্তী ধাপে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন। শিশুর নাম, জন্ম তারিখ, পিতামাতার নাম সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে জন্ম নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করুন।
প্রথমে শিশুর ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে আবেদন ফর্মটি পূরণ করা প্রয়োজন। জন্ম নিবন্ধনের আবেদন বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় জমা দিতে হবে। এরপর জন্ম তারিখ (dd-mm-yyyy) জন্ম তারিখের বাক্সে প্রবেশ করাতে হবে।
পিতামাতার সন্তানের সিরিয়াল নম্বর নির্বাচন করা প্রয়োজন। এরপর খালি স্থানে পুরুষ বা মহিলা লিখুন। তারপর জন্মস্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে, ওয়েবসাইটে যান: https://bdris.gov.bd/br/application। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে ব্যক্তির নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ এবং ঠিকানা লিখুন নাম অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজিতে লিখতে হবে। সহজ করার জন্য প্রক্রিয়াটি ছোট ধাপে ভাগ করা হয়েছে।
ধাপ ১: অফিসিয়াল BDRIS ওয়েবসাইট পরিদর্শন করুন
- অফিসিয়াল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য সিস্টেম (BDRIS) ওয়েবসাইটে যান।
ধাপ ২: আবেদন শুরু করুন

- “জন্ম নিবন্ধন” ট্যাবের অধীনে “জন্ম নিবন্ধন আবেদন” এ ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: জন্ম নিবন্ধনের অবস্থান নির্বাচন করুন
আপনি কোথায় জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে চান তা নির্বাচন করুন:

- জন্মস্থান
- স্থায়ী ঠিকানা
- বাংলাদেশ দূতাবাস (যারা বিদেশ থেকে আবেদন করছেন তাদের জন্য)
পছন্দের নিবন্ধন অবস্থান নির্বাচন করার পরে, এগিয়ে যেতে “পরবর্তী” ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: নিবন্ধনকারী ব্যক্তির তথ্য প্রদান করুন

ব্যক্তিগত পরিচিতি তথ্য
- প্রথম নাম (বাংলা)
- শেষ নাম (বাংলা)
- প্রথম নাম (ইংরেজি)
- শেষ নাম (ইংরেজি)
- জন্ম তারিখ (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার – AD)
- লিঙ্গ
- মাতাপিতার সন্তানের সংখ্যা (ড্রপডাউন নির্বাচন)
জন্মের ঠিকানা
- দেশ
- বিভাগ (শহর/গ্রামাঞ্চল)
- ডাকঘর (বাংলা ও ইংরেজি)
- গ্রাম / পাড়া (বাংলা ও ইংরেজি)
- বাড়ি ও রাস্তা (নাম, নম্বর – বাংলা ও ইংরেজি)
ধাপ ৫: পিতামাতার তথ্য প্রদান করুন

পিতার বিবরণ
- পিতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর
- জন্ম তারিখ (হিজরি ক্যালেন্ডার – ঐচ্ছিক)
- পিতার নাম (বাংলা ও ইংরেজি)
- পিতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID)
- পিতার জাতীয়তা
মাতার বিবরণ
- মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর
- জন্ম তারিখ (হিজরি ক্যালেন্ডার – ঐচ্ছিক)
- মাতার নাম (বাংলা ও ইংরেজি)
- মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID)
- মাতার জাতীয়তা
ধাপ ৬: আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করুন
যদি আবেদনকারী ১৮ বছরের কম বয়সী হয়, তাহলে একজন অভিভাবককে আবেদন নিশ্চিত করতে হবে।

অভিভাবক যাচাই
আবেদনকারীর সাথে সম্পর্ক:
- পিতা
- মাতা
- অভিভাবক
- স্বয়ং
- পিতামহ / পিতামহী
- মাতামহ / মাতামহী
অভিভাবকের তথ্য
- জন্ম নিবন্ধন নম্বর
- জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID)
- জন্ম তারিখ (হিজরি ক্যালেন্ডার – ঐচ্ছিক)
- আবেদনকারীর নাম
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাসমূহ:
- যদি অভিভাবক আবেদন করেন, তবে তাকে সহায়ক নথিপত্র প্রদান করতে হবে।
- আবেদনকারী / অভিভাবককে শিশুর সাথে তাদের সম্পর্ক যাচাই করতে হবে।
- আবেদনকারীকে নিশ্চিত করতে হবে যে একই নামে অন্য কোনো জন্ম নিবন্ধন নেই।
ধাপ ৭: প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করা

শেষ ধাপে প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর জন্য টিকাদান কার্ড বা জমি/বাড়ির কর রশিদের স্ক্যান করা কপি প্রয়োজন। একাধিক ফাইল আপলোড করা যাবে, তবে প্রতিটি ফাইল 100KB-এর কম হতে হবে। অতিরিক্ত ফাইল আপলোড করতে ‘Add’ বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৯: আবেদনপত্র প্রিন্ট করা

আবেদন জমা দেওয়ার পর, ফরমটি প্রিন্ট করা যাবে। আবেদন ফরম নম্বর সংরক্ষণ করুন। ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা থেকে ১৫ দিনের মধ্যে জন্ম সনদ সংগ্রহ করুন। জন্ম সনদ পেতে নিবন্ধকের কার্যালয়ে আবেদন নম্বর বা ফরমের প্রিন্টেড কপি দেখাতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করা খুবই সহজ। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করলেই আপনি সহজেই আবেদন পত্র ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন:
- ধাপ ১: অফিসিয়াল “জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট” ওয়েবসাইটে যান।
- ধাপ ২: সেখানে গিয়ে “আবেদন” ফর্মের ধরন নির্বাচন করুন।

ধাপ ৩: আপনার “অ্যাপলিকেশন আইডি” নম্বর লিখুন।

ধাপ ৪: জন্ম তারিখ “জন্ম তারিখh” প্রবেশ করান।

ধাপ ৫: সব তথ্য ঠিক থাকলে “ছাপা” বাটনে ক্লিক করুন এবং আবেদন পত্র প্রিন্ট করে নিন।

ভিডিও গাইডের মাধ্যমে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পদ্ধতি
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করেছে। আপনি চাইলে bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন করার ধাপসমূহ:
- bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- নতুন জন্ম নিবন্ধন অপশন সিলেক্ট করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন (শিশুর নাম, জন্ম তারিখ, বাবা-মায়ের তথ্য)।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করুন।
- আবেদন সাবমিট করুন এবং আবেদন নম্বর সংরক্ষণ করুন।
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে ফি পরিশোধ করুন এবং সনদ সংগ্রহ করুন।
২০২৫ সালে জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয়তা
জন্ম নিবন্ধন এখন সম্পূর্ণ অনলাইনে করা হয়, যা অভিভাবকদের জন্য ডিজিটাল প্রক্রিয়াটি সহজ করে তুলেছে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র আবেদনকারীর বয়স অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে হলে, টিকাদান কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র, বাড়ির ট্যাক্স/কর পরিশোধের রসিদ এবং অভিভাবকের সক্রিয় মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হয়।
নবজাতকের জন্ম নিবন্ধন (০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে)
এই বয়সসীমার মধ্যে শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের জন্য নিম্নলিখিত নথিগুলো প্রয়োজন:
- শিশুর টিকাদান কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র
- বাড়ির কর টোকেন বা কর পরিশোধের রসিদ
- অভিভাবকের সক্রিয় মোবাইল নম্বর
- অভিভাবকের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (ঐচ্ছিক)
- অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) (ঐচ্ছিক)
৪৬ দিন থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর জন্ম নিবন্ধন
যদি শিশুর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছরের মধ্যে হয়, তবে প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলো:
- শিশুর টিকাদান কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র
- অভিভাবকের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি থাকে)
- অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
- বাড়ির কর পরিশোধের রসিদ বা কর পরিশোধের প্রমাণপত্র
- অভিভাবক বা অভিভাবকের সক্রিয় মোবাইল নম্বর
- শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়)
৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্ম নিবন্ধন
যাদের বয়স ৫ বছরের বেশি, তাদের পরিচয় ও বয়স যাচাই করার জন্য অতিরিক্ত নথিপত্র প্রয়োজন:
- নিবন্ধিত ডাক্তারের সার্টিফিকেট (যিনি MBBS বা তার চেয়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারী এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যেমন:
- প্রাথমিক বিদ্যালয় সমাপ্তির সনদ
- জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট
- মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
অতিরিক্ত প্রমাণপত্র:
- অভিভাবকের স্থানীয় ঠিকানার কর পরিশোধের রসিদ অথবা:
- জমির মালিকানা সংক্রান্ত দলিল
- বাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি বা ভাড়ার রসিদ
- উভয় অভিভাবকের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি (যদি থাকে)
- উভয় অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর কপি (যদি থাকে)
জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ প্রক্রিয়া
একটি নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে সফলভাবে আবেদন করার পর, জন্ম সনদটি নির্দিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে, যা আবেদন প্রক্রিয়ার সময় নির্বাচিত হয়েছিল।
- যদি আপনি সিটি করপোরেশন থেকে জন্ম সনদ সংগ্রহ করতে চান, তবে আবেদন জমা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এটি সংগ্রহ করতে হবে।
- এই সময়সীমার মধ্যে সনদ সংগ্রহ না করা হলে, আবেদনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
- জন্ম নিবন্ধন সনদ গ্রহণের পর, এটি সংশ্লিষ্ট সচিব দ্বারা স্বাক্ষরিত ও সিলমোহরযুক্ত হতে হবে।
- এরপর, সরকারি অনুমোদনের জন্য পৌরসভার চেয়ারম্যান বা মেয়রের কাছ থেকে অতিরিক্ত সিলমোহর ও স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন ফি
জন্ম নিবন্ধনের খরচ শিশুর বয়স ও নিবন্ধন প্রক্রিয়ার অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
বয়স অনুযায়ী নিবন্ধন ফি:
- ০ থেকে ৪৫ দিন: বিনামূল্যে
- ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর: ২৫ টাকা (দেশীয়), ১ মার্কিন ডলার (আন্তর্জাতিক)
- ৫ বছরের বেশি: ৫০ টাকা (দেশীয়), ১ মার্কিন ডলার (আন্তর্জাতিক)
সংশোধন ফি:
- জন্মতারিখ সংশোধন: ১০০ টাকা (দেশীয়), ২ মার্কিন ডলার (আন্তর্জাতিক)
- অন্যান্য তথ্য সংশোধন ও দ্বিভাষিক সনদ ইস্যু: ৫০ টাকা (দেশীয়), ১ মার্কিন ডলার (আন্তর্জাতিক)
জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম
যদি আপনি জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করতে চান, তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
- নিবন্ধন অফিসে যান: যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা কাউন্সিলরের কার্যালয়ে আবেদন জমা দিয়েছিলেন, সেখানে যান।
- আপনার আবেদন আইডি প্রদান করুন: বাতিলের অনুরোধ করতে আবেদন আইডি প্রদান করতে হবে।
- বাতিলের অনুরোধ জমা দিন: বাতিলের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে আবেদন করুন।
- স্বয়ংক্রিয় বাতিল নীতি: যদি নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন অনুমোদিত না হয়, তবে এটি ১৫ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
- বাতিলের পরে পুনরায় আবেদন
- যদি আবেদনে কোনো ভুল হয়ে থাকে, তাহলে এটি ম্যানুয়ালি বাতিল করে পুনরায় আবেদন করা যাবে।
- যদি ম্যানুয়াল বাতিল সম্ভব না হয়, তবে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে, এরপর নতুন আবেদন জমা দেওয়া যাবে।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন করতে দেরি হলে কী করবেন?
যদি কোনও কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা না হয়, তাহলে দেরিতে নিবন্ধন করতে হবে। এজন্য নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমোদন নিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে গেলে করণীয়
যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে যায়, তবে পুনরায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, বা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে যোগাযোগ করে নতুন কপি সংগ্রহ করা যাবে।
উপসংহার
বাংলাদেশে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন একটি সহজ এবং বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়া। এটি শিশুর ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য অপরিহার্য। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা হলে, ভবিষ্যতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। তাই শিশুর জন্মের পরপরই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করুন।